Home / সর্বশেষ / তাসকিন দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে একজন পেসারকে বড় হতে হয় : সাকিব আল হাসান

তাসকিন দেখিয়ে দিয়েছে, কিভাবে একজন পেসারকে বড় হতে হয় : সাকিব আল হাসান

বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলিং ইউনিট যে কোন সময় থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। একসময় বাংলাদেশ দল স্পিননির্ভর হলো বর্তমান সময়ে বেশ কয়েকজন তারকা ফাস্ট বোলার রয়েছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বল হাতে ভালো অবদান রেখেছে ৩ ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজুর রহমান খালেদ আহমেদ এবং এবাদত হোসেন। তাইতো ম্যাচে শেষে ফাস্ট বোলারদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সেইসাথে ফাস্ট বোলারদের ভালো করার পিছনে তাসকিন আহমেদের অনেক বড় অবদান আছে বলে জানিয়েছেন সাকিব। আজ ম্যাচ শেষে ফাস্ট বোলারদের নিয়ে সাকিব আল হাসান বলেন,

“শেষ অনেকদিন ধরেই পেস বোলাররা ভালো বোলিং করছে এবং তাদের মধ্যে চেষ্টাও অনেক বেশি। এটা আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বেশি দরকার। তারা বিশ্বাস করে যে, তারা অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারে।

তো এই বিশ্বাসটা তাদের আছে এবং আমার ধারণা তারা চেষ্টা করে। তারা অনেক পরিকল্পনা করে। তারা একসাথে থেকে পরিকল্পনা করে একটা কাজ করার চেষ্টা করছে, যে কারণে আসলে তারা এত বেশি সফল হচ্ছে।”

বিগত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টে যে উন্নতি হয়েছে তার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তাসকিন আহমেদের এমনটাই জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ফাস্ট বোলারদের এমন উন্নতির পেছনে তাসকিনকে ক্রেডিট দিয়েছেন অধিনায়ক। এ সময় তিনি আরো বলেন

“একটা বড় ক্রেডিট দিতে হয় আসলে তাসকিনকে। তাসকিন আসলে শেষ দুই-তিন বছরে দেখিয়ে দিয়েছে যে, কিভাবে আসলে একজন পেস বোলার বড় হতে পারে কিংবা সামনের দিকে এগোতে পারে এবং ব্যাকরণগত কিভাবে উন্নতি করতে পারে।

আমার মনে হয়, তাকে অনেকেই অনুসরণ করে। আমাদের পেস বোলারদের ভালো করার পেছনে এটা একটা বড় কারণ।” বিগত কয়েক বছর ধরে খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছেন তাসকিন।

দল থেকে বাদ পড়ার পর লড়াই চালিয়ে গেছেন একাই। ফলাফল হাতেনাতে পেয়েছেন তিনি। তার আগে বাংলাদেশ দলে এমন পরিশ্রম আর কেউ করেননি বলে জানিয়েছেন সাকিব।

“এর আগে হয়তো কেউ এভাবে কঠিন পরিশ্রম করে, ম্যাচের পর ম্যাচ ত্রিশ ওভার-চল্লিশ ওভার একটানা একই পেসে বোলিং করে আসেনি। এটা আসলে এর আগে খুব বেশি হয়নি,

তাসকিন করার আগ পর্যন্ত। হয়তো করেছে, টাইম বাই টাইম বা পার্ট বাই পার্ট; কিন্তু এতবেশি কেউ করেনি। তাসকিনকে অনেক বেশি ক্রেডিট দিতে হয়, এই চিন্তাধারাটা পরিবর্তন করার পেছনে আমার মনে হয় তার অনেক বড় ভূমিকা আছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *