যেখানে শেষ করেছিল, সেখান থেকেই যেন শুরু হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই সেঞ্চুরিয়নে ব্যাটিংয়ে নামে তারা। জনসন চার্লস চালান ব্যাটিং তাণ্ডব। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের রেকর্ড ২৫৮ রান তোলে ৫ উইকেটের বিনিময়ে। কিন্তু কুইন্টন ডি ককের দানবীয় ব্যাটিংয়ে ৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ২৪৬ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ছিল বুলগেরিয়ার, গত বছর সার্বিয়ার বিপক্ষে। তবে পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে এই রেকর্ডের মালিক ছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৮ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪৫ রান করে জিতেছিল অজিরা। সেঞ্চুরিয়নে তা ছাপিয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
বড় লক্ষ্যে নেমে মনেই হয়নি কোনও চাপে স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ৩ বল আগেই স্কোর ১০০, বিনা উইকেটে। ১৫ বলে পঞ্চাশ করেন ডি কক। ৪৩ বলে দেখা পান প্রথম সেঞ্চুরি, ৯ চার ও ৮ ছয়ে। রিজা হেনড্রিকসের সঙ্গে ১০.৫ ওভারে ১৫২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৪৪ বলে ১০০ রানে আউট হন ডি কক।
হেনড্রিকস ২৮ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে ৬৮ রানে থামেন। পরের ব্যাটারদের বাকি কাজ সারতে সমস্যা হয়নি। অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ২১ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান। হেনরিখ ক্লাসেন তার সাথে ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পথে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন ৭ বলে ৩ চার মেরে। ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫৯ রান করে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরায় প্রোটিয়ারা।
টস জিতে ফিল্ডিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের তৃতীয় বলে ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান ওয়েন পার্নেল। তারপর বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ান চার্লস, সঙ্গ দেন কাইল মায়ার্স। দুজনের জুটিতে ১০ ওভারে রান ১ উইকেটে ১৩৭। এই জুটি ভাঙে ১৩৫ রানে।
১১তম ওভারে মায়ার্স ও নিকোলাস পুরানকে ফেরান মার্কো জানসেন। তাতে এতটুকুও ছন্দ হারায়নি উইন্ডিজ। ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা চার্লস আর ১৬ বল খেলে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান। ৩৯ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে তিনি মারেন ৯টি করে চার ও ছয়।
১৬তম ওভারে দুইশর ঘরে পৌঁছায় উইন্ডিজ। অবশ্য তার আগেই চার্লস প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মাত্র ৪৬ বলে ১০ চার ও ১১ ছয়ে ১১৮ রান করেন এই ব্যাটার।
এরপর রোমারিও শেফার্ড ঝড় তোলেন, তার সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। ১৯ বলে ২৮ রান করেন তিনি। শেফার্ড ১৮ বলে ১ চার ও ৪ ছয়ে ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওডিন স্মিথ খেলেন ৫ বলে ১১ রানের হার না মানা ইনিংস।
রান পাহাড় গড়েও সুবিধা করতে পারেনি উইন্ডিজ। ডি কক সব হিসাব এলোমেলো করে দিলেন, হলেন ম্যাচের সেরা।