Home / সর্বশেষ / ছয় ব্যাটারের চেয়ে বেশি রান দুই বোলারের

ছয় ব্যাটারের চেয়ে বেশি রান দুই বোলারের

ব্যাটাররা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। তামিম, শান্ত, সাকিব, সোহানরা যখন ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন, টপঅর্ডার, মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়, লোয়ার অর্ডারও তাদের দেখানো পথেই যায়।

বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার বা বোলাররা খুব একটা সহায়ক হতে পারেন না অন্য দলগুলোর লোয়ার অর্ডারের মতো। তবে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র।

সফরকারী বাংলাদেশের ছয় ব্যাটারের চেয়ে লোয়ার অর্ডারের দুই ব্যাটে এসেছে বেশি রান। শান্ত, জয়, বিজয়, সাকিব-সোহানদের চেয়ে বেশি রান করলেন দুই পেসার এবাদত ও শরিফুল।

নবম উইকেটে তাদের ৩৬ রানের জুটিতেই বাংলাদেশ দুইশো রান টপকেছে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা বরাবরের মতোই হতাশ করে শুরু করে। প্রথম সেশনেই ফিরেন দুই ওপেনার শান্ত ও তামিম।

দ্বিতীয় সেশনে সাকিবের দল হারায় আরো চার উইকেট। ছয় উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে তৃতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ২৩৪ রানেই গুটিয়ে যায়। তবে শেষ দিকে এবাদত ও শরিফুল দারুণ ব্যাট করেন।

এবাদত ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৫ বলের ইনিংসে তিনি তিনটি চার হাঁকিয়েছেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া শরিফুল ২৬ রান করেছেন। ১৭ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন পাঁচটি চারে। টাইগার ক্রিকেটে বোলারদের এমন দারুণ ব্যাট করতে খুব একটা দেখা যায় না।

দুই পেসারের চেয়ে কম রান করেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাজাস জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান। জয় করেন ১০ রান। শান্ত ২৬, বিজয় ২৩, লিটন ৫৩, সাকিব ৮, সোহান ৭, মিরাজ ৯ ও খালেদ করেন ১ রান করে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ কিছুটা ভাল শুরু করেছিলো। তবে হতাশ করেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার বিদায়ের পর শান্তকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত ব্যাট করা এই ড্যাশিং ওপেনার হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতেই ফিরলেন।

ইনিংসের ১২ ওভার পর্যন্ত নিরাপদেই কাটায় বাংলাদেশ। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার জয় ফিরে গেলে ভাঙে ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৩১ বলে এক চারে ১০ রান করেন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পরও অবিচল ছিলেন তামিম ইকবাল।

ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতে তিনি ফিরেন সাজঘরে। দলীয় ৬৮ রানে তার বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। ৪৬ রানের ইনিংসেই তিনি ৯টি বাউন্ডারি হাঁকানা। ৬৭ বল খেলেন এই ওপেনার।

তামিমের বিদায়ের পর ইনিংসের ৩৪তম ওভারের চতুর্থ বলে শতরা পেরুনো বাংলাদেশ ১০৫ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। ব্যক্তিগত ৩৩ বলে ২৩ রানে ফিলিপসের এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন বিজয়। তার বিদায়ের পর শান্ত ফিরেন পরের ওভারেই।

দলীয় ১০৫ রানেই বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মায়ার্সের বলে তিনিও এলবিডাব্লিউ হন ব্যক্তিগত ২৬ রানে। ৭৩ বলের ইনিংসে চারটি চার হাঁকান তিনি। তার আগে দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েন।

এরপর বাংলাদেশের ব্যাটাররা রীতিমতো যাওয়া-আসার মিছিল শুরু করেন। ৪ উইকেটে ১০৫ থেকে টাইগাররা অলআউট হয়ে যায় ৬৪.২ ওভারে ২৩৪ রানে। হাফ সেঞ্চুরিয়ান লিটন ব্যাট হাতে কিছু লড়াইয়ের চেষ্টা করেন।

তবে ফিফটির পরপরই তিনি সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের বড় স্কোরের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। দলীয় ১৯১ রানে অষ্টম উইকেটে লিটন ফিরেন ব্যক্তিগত ৫৩ রানে। ৭০ বলের ইনিংসে আটটি চারের মার ছিলো।

নবম উইকেটে এবাদত-শরিফুলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ দুইশো রানের কোটা পেরুতে পারেনি। এবাদত ৩৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

চারটি বাউন্ডারিতে সাজান তার ইনিংসটি। পাঁচ চারে ১৭ বলে ২৬ রান করেন শরিফুল। অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান। সোহান করেন ৭ রান। ৯ রান করে সাজঘরে ফিরেন মিরাজ। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে জোসেফ ৫০ রানে ৩টি ও সিলিস ৫৩ রানে ৩টি করে উইকেট লাভ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *