ভেজা মাঠ অনেকটা সময় বাঁচিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের হার। প্রথম দুই সেশনে আউটফিল্ড প্রস্তুতই করতে পারেননি মাঠকর্মীরা। অবশেষে চা-বিরতির পর খেলা শুরু হয়।
মেহেদি হাসান মিরাজ দিনের চতুর্থ ওভারেই সাজঘরের পথ ধরেন ৪ রান করে। ইনিংস হার এড়াতে তখনও ২৬ রান দরকার বাংলাদেশের। নুরুল হাসান সোহান এরপর মারকুটে চেহারায় হাজির হলেন।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে বাঁচালেন ইনিংস হারের লজ্জা থেকে। ৪০ বলে ঝড়ো ফিফটি পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে দলকে লিডও এনে দেন সোহান।
তবে বৃষ্টি বিঘ্নিত চতুর্থ দিনে নুরুল হাসান সোহানের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচলেও হার এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে টাইগারদের ১০ উইকেটে হারের স্বাদ নিতে হয়েছে।
মমিনুল হকের নেতৃত্ব ছাড়ার পর নতুন করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের যাত্রাটাও শুভ হলো না। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব শুরু হলো হারের মধ্য দিয়ে।
প্রথম টেস্টে হারার পর এবার দ্বিতীয় টেস্টেও একই পরিণত হওয়ায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাত্রা শুরু হলো সাকিবের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ টেস্ট দল।
সিরিজের প্রথম টেস্টেও ব্যাটিং ব্যর্থতার স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেও একই চিত্র।
টাইগার ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থতার কাতারে। ফলে উইকেটে হারের স্বাদ নিয়ে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জাবরণ করতে হলো। একই সাথে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এটি শততম পরাজয়।