২০০৯ সালের পরিসংখ্যান একপাশে রাখলে উইন্ডিজের মাটিতে টেস্টে একতরফাভাবে পিছিয়ে বাংলাদেশ দল। ব্যত্যয় ঘটছে না চলমান সিরিজেও।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে ঢের পিছিয়ে সফরকারীরা। বাংলাদেশের পারফরম্যানস নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে চারিদিকে।
প্রতিটি ম্যাচেই নতুনভাবে ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সের পর রাসেলকে নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
তখন হোম অব ক্রিকেট থেকে গুঞ্জন দল থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফ পরিবর্তন আসবে সব জায়গায়। পরিবর্তন এনেছিলেনও বটে। তবে সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছিলেন রাসেল ডোমিঙ্গো।
শুধু দলের ব্যর্থতার দায়ই নয়, কৌশলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবিকে ফাঁদে ফেলেছিলেন টাইগারদের হেড কোচ। স্টিভ রোডসকে সরিয়ে ২০১৯ সালে ডোমিঙ্গোকে নিয়োগ দেয় বিসিবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় ছাড়া বড় কোনো সাফল্য নেই এই প্রোটিয়া কোচের আমলনামায়।
বিপরীতে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লাল সবুজের ভক্তদের ‘চোখের বিষ’ হয়ে উঠেছেন কখনই নিজ দেশের জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব না করা সাবেক এই ক্রিকেটার।
বিসিবি রাসেল ডমিঙ্গোকে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য কোনো কাজে লাগাতে চাচ্ছে। আর সেটা হতে পারে নারী দল, এইচপি দল বা অন্য কোনো দায়িত্বে। তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ডমিঙ্গোকে নারী দলের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে অনেক আগেই নারী দলের ভারতীয় কোচ বিদায় নিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে গেছে নারী দল। দেশীয় কোচ এ.কে.এম মাহমুদ ইমন নারী দলের কোচের দায়িত্বে আছেন। বিসিবি এই দায়িত্ব তুলে দিতে পারে ডমিঙ্গোর কাঁধে।