ইনজুরি কাটিয়ে দারুণ ভাবে বোলিংয়ে ফিরছেন হাসান মাহমুদ। এদিন বোলিং করেও পেয়েছেন বেশ সাফল্য। গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টিবাধায় পড়েছে বাংলা টাইগার্স আর হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ৪ দিনের ম্যাচ।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আজ সারা দিনে নির্ধারিত ৯০ ওভারের মধ্যে ৫৩ ওভার মাত্র খেলা হয়েছে। সকালের সেশনটা হয়েছিল ভালোমতই। চা-বিরতির ঠিক আগেই শুরু হয় বৃষ্টির উপদ্রব।
টানা বৃষ্টিতে ৫৫ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। কিন্তু বেশিক্ষণ চালানো যায়নি। বেলা ৩টা ২৫ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচ টিপ টিপ বৃষ্টি আর আলোর স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে। তারপর আর শুরু হয়নি।
৪০ মিনিট অপেক্ষার পর আম্পায়াররা বিকেল পৌনে ৫টায় দিনের খেলার ইতি টানেন। ফলে ৩৭ ওভার খেলা বাকি থেকে যায়।বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার সময় হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৭৬।
অধিনায়ক আকবর আলী ১৪ আর অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩০ রানে ব্যাট করছেন। এইচপির হয়ে পরিচিত পারফরমারদের কেউই রান করতে পারেননি।
সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে তুলনামূলক স্বল্প পরিচিতির ওপেনার মাফিজুল ইসলাম রবিনের ব্যাট থেকে। এ তরুণ ১১৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ওই ইনিংসটি সাজান।
এছাড়া দ্বিতীয় সর্বাধিক ২৯ রান (৪৭ বলে) করেন আইচ মোল্লা।সাহাদাত হোসেন দিপুর ব্যাট থেকে আসে ২১ (৫১ বলে)। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (১১), ওয়ান ডাউন অমিত হাসান (০) ও তৌহিদ হৃদয় (৭) সুবিধা করতে পারেননি।
বাংলা টাইগার্সের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন পেসার হাসান মাহমুদ। ইনজুরি কাটিয়ে আবার ছন্দে ফেরার সংগ্রামরত এ তরুণ ১১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩ মেইডেনসহ ২৯ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। অফস্পিনার নাইম হাসান পেয়েছেন ২ উইকেট।
স্কোর কার্ডঃ হাই পারফরম্যান্স ইউনিট প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে): ৫৩ ওভারে ১৭৬/৬ (তানজিদ তামিম ১১, মাফিজুল ইসলাম রবিন ৪৭, অমিত হাসান ০, আইচ মোল্লা ২৯, সাহাদাত হোসেন দিপু ২১, তৌহিদ হৃদয় ৭, আকবর আলী ১৪*, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ৩০*; আবু জায়েদ রাহি ১/৪০, হাসান মাহমুদ ৩/২৯, নাইম হাসান ২/৩৮)
অপর উইকেটটি জমা পড়েছে পেসার আবু জায়েদ রাহির ঝুলিতে। এছাড়া আবু হায়দার রনি (৮ ওভারে ২৩), বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম (৯ ওভারে ১৫), হালিম (৬ ওভারে ১৫) আর সৌম্য সরকার (১ ওভারে ৪ রান) ছিলেন উইকেটশূন্য।