টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ঘরের মাঠেই, গত বছরের ডিসেম্বরে। তবে ২০ বছরের মাহমুদুল হাসান জয়কে জীবনের প্রথম টেস্টটাই খেলতে হয় পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে।
মিরপুরে শাহিন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলিদের তোপে পড়ে দুই ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ৬ রান (০ আর ৬)। তারপরও তার ওপর আস্থা হারাননি নির্বাচকরা। নিউজিল্যান্ড সফরে কঠিন কন্ডিশনে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব পড়ে জয়ের ওপর।
এবার বাজিমাত করেন জয়। মাউন্ট মুঙ্গানুইতে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনারদের সামলে খেলেন ৭৮ রানের ইনিংস। যে টেস্টে ইতিহাসগড়া জয়ও পায় বাংলাদেশ।
এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান জয়। সেখানে তিনি করে বসেন সেঞ্চুরি। ডারবানে খেলেন ১৩৭ রানের মনোমুগ্ধকর এক ইনিংস। সেখান থেকে আর বাদ পড়ার সুযোগ আছে?
টেস্ট দলে ওপেনার হিসেবে জায়গাটা পাকা হয়ে যায় ডানহাতি এই ব্যাটারের। কিন্তু ওই সেঞ্চুরির পরই জয় যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। পরের তিন ইনিংসে দুটি শূন্যসহ করেন ৪ রান।
এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হাফসেঞ্চুরি (৫৮) পেলেও তারপর আর বড় রান করতে পারেননি। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই টেস্টে তার ইনিংসগুলো-০, ৪২, ১০, ১৩।
জয়ের এমন পারফরম্যান্স দেখে ভীষণ খেপেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে পাপন বলেন, ‘এই ছেলেটা এখানে আসল কীভাবে?
ওর তো আসারই সময় হয়নি। আপনারা আমাকে বলেন ওর কি আসার সময় হইছে এখনও? তাও প্রথম টেস্ট পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদির বল ফেস করার জন্য!’
পাপন যোগ করেন, ‘যে জীবনে এ লেভেলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই খেলেনি। তারপর চলে যাচ্ছি নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সব কঠিন কঠিন কন্ডিশনে ওকে পাঠিয়ে দিচ্ছি ওপেন করতে। ওর তো ভুল আছেই, ওর শেখার এখনও অনেক বাকি। ওকে নিয়ে কথা বলার তো কিছু নাই। ওকে ডেভেলপ করতে হবে।’
পাপনের এই মন্তব্যের পর জয়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার কি কিছুটা হুমকির মুখে পড়ে গেলো? নির্বাচকরা কি পরের সিরিজেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন? নাকি বয়স বিবেচনায় আরেকটু সুযোগ দেবেন জয়কে? দেখা যাক!