ক্রিকেটারদের আচরণবিধির ধারায় পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সোমবার এই সংশোধনী নিশ্চিত করা হয়। আর তাতে কপাল খুলেছে ডেভিড ওয়ার্নারের।
তিনি চাইলেই এখন অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এতদিন সময় লাগার কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০১৮ সালের এক টেস্ট ম্যাচে বল টেম্পারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায় ওয়ার্নারসহ তিন অজি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে।
এ অপরাধের কারণে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি পান ৩৬ বছর বয়সী ওয়ার্নার। তাকে আজীবনের জন্য অধিনায়কত্ব থেকে নিষিদ্ধ করে সিএ।
কিন্তু এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারছিলেন না এতদিন। কারণ তখন শাস্তি মেনে নেন ওয়ার্নার আর সিএ-এর আগের নিয়ম অনুযায়ী,
কোনো শাস্তি মেনে নেওয়ার পর এর বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ ছিল না। এ নিয়ম পরিবর্তন করার কারণে এখন আর আপিল করতে কোনো বাধা নেই এই অজি ব্যাটারের।
নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, “নতুন নিয়ম অনুযায়ী খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফ এখন থেকে দীর্ঘমেয়াদি শাস্তি পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যেকোনো আবেদন আচরণবিধি বিষয়ক কমিশনারদের নিয়ে গড়া তিন সদস্যের পর্যালোচক কমিটি বিবেচনা করে দেখবে।” এমন সিদ্ধান্ত নিতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২২, এত দীর্ঘ সময় লাগার কারণে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ওয়ার্নার। জানান তিনি অপরাধী নন। আপিলের অধিকার সবার আছে।
সোমবার কায়ো স্পোর্টসের জন্য এক প্রচার অনুষ্ঠানে ওয়ার্নার বলেছেন, ‘আমি অপরাধী নই। এটার জন্য আপনি কোনো না কোনো সময় আপিল করতে চাইবেন। আমি বুঝতে পারছি, নিষিদ্ধ ওরা কাউকে করতেই পারে। তবে সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়াটা অবশ্যই অনেক নির্মম।’
‘ব্যাপারটা হতাশার, কেননা এটা সম্পন্ন হতে অনেক সময় লেগেছে। এটা সম্ভবত ফেব্রুয়ারি থেকেই আলোচনা চলছিল। এটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য এবং যারা এটায় সংযুক্ত ছিল তাদের জন্য চরম হতাশার ছিল।’
উল্লেখ্য, অনেকদিন ধরেই জাতীয় দলে ওয়ার্নারকে অধিনায়ক হিসেবে পেতে আলোচনা চলছিল। সেটা আরও চাউর হয় অ্যারন ফিঞ্চ ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরে গেলে। এখন দেখার বিষয় আপিল করে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ওয়ার্নার পান কিনা।
Source: Bdcrictime