Home / সর্বশেষ / আটলান্টিকে “বাঁচা মরার” লড়াই, যমদূতের ঘর দেখে বেঁচে ফিরলেন সাকিব-রিয়াদরা

আটলান্টিকে “বাঁচা মরার” লড়াই, যমদূতের ঘর দেখে বেঁচে ফিরলেন সাকিব-রিয়াদরা

সেন্ট লুসিয়ায় টেস্ট ম্যাচ শেষে টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য ডমিনিকায় যেতে হবে ফেরিতে। তবে ফেরিতে যেনতেন ভাবে নয়,

পাড়ি দিতে হবে আন্টলান্টিক মহাসাগর এবং সময় লাগবে কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টা। মাঝে থাকবে যাত্রাবিরতিও। এসবই ক্রিকেটাররা আগে থেকে জানতেন।

কিন্তু তারা জানতেন না সেই অভিজ্ঞতা কেমন হতে যাচ্ছে। ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজই বিসিবিকে এই ফেরিতে সমুদ্রযাত্রার প্রস্তাব দিয়েছিল।

আন্টলান্টিক মহাসাগরের মতো এত বিশাল জলরাশির ঢেউ পেরিয়ে পাঁচ ঘণ্টার যাত্রা আসলে কেমন হয় তা সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়েই সিডব্লিউসির প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল বিসিবি।

যার বিরূপ ফল ভোগ করতে হলো বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের খেলোয়াড়দের। সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকায় আন্টলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে সমুদ্রযাত্রার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বাংলাদেশের একাধিক ক্রিকেটার।

মাথা ঘুরানো ও বমি করে দুর্বল হয়ে পড়েন তারা। কারণ কারোই যে এত দীর্ঘ পথ সমুদ্রযাত্রার অভিজ্ঞতা ছিল না। তাদের জানা ছিল না কীভাবে মানিয়ে নিতে হয় আন্টলান্টিকের এই বিশাল ঢেউয়ের ছন্দের সাথে।

পাঁচ ঘণ্টার সমুদ্রযাত্রার মাঝে একবার ছিল যাত্রাবিরতি। যাত্রাবিরতিতে অনেক ক্রিকেটারই আপত্তি জানিয়েছিলেন আবারও ফেরিতে উঠতে।

তারা চেয়েছিলেন বাকিটা পথ যেন তাদেরকে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাদের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়েই ভয় ও অসুস্থতা নিয়ে আন্টলান্টিক পাড়ি দিয়েই ডমিনিকায় গেছে বাংলাদেশ।

এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতার পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ক্রিকেটাররাও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিসিবির এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *