Home / খেলার খবর / আইপিএলে নো-বল বিতর্ক, নিয়ম নিয়ে ভাবতে বলছেন জয়াবর্ধনে

আইপিএলে নো-বল বিতর্ক, নিয়ম নিয়ে ভাবতে বলছেন জয়াবর্ধনে

পায়ের নো-বলের জন্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নেওয়ার ঘটনা এখন নিয়মিতই। প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি থাকলে এমন নো বলের সিদ্ধান্ত দেন টেলিভিশন আম্পায়ারই। তবে ফুলটস বা কোমরসমান উচ্চতার নো বলের সিদ্ধান্ত এখনো মূলত অন ফিল্ড আম্পায়ারের ওপরই নির্ভরশীল।

২২ এপ্রিল আইপিএলে এমন একটা ফুলটস নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এরপর মাহেলা জয়াবর্ধনে বলছেন, এ নিয়মে পরিবর্তন আনা উচিত। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ওই ম্যাচের শেষ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালস তাড়া করছিল ৩৬ রানের প্রায় অসম্ভব এক লক্ষ্য।

কিন্তু ওবেদ ম্যাকয়ের প্রথম ৩ বলেই ছক্কা মেরে দিল্লিকে আশা জুগিয়েছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। এর মধ্যে তৃতীয় ছক্কাটি এসেছিল ফুলটসে। তবে সেটিতে নো ডাকেননি আম্পায়ার। সে সিদ্ধান্তেই তৈরি হয় বিতর্ক।

মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে বেশ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা যায় পাওয়েলের সঙ্গে ব্যাটিং করা কুলদীপ যাদবকে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির ডাগআউটও। দুই হাত দিয়ে ব্যাটসম্যানদের উঠে যাওয়ার ইশারা করতেও দেখা যায় দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ পন্তকে।

এরপর মাঠেই ঢুকে পড়েন দিল্লির সহকারী কোচ প্রবীণ আমরে। শেষ পর্যন্ত সে ম্যাচ ১৫ রানে হারে দিল্লি। তবে ওই ঘটনায় পরে ম্যাচ ফির পুরোটাই জরিমানা করা হয় পন্ত ও আমরেকে, এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাও পান আমরে।

সে ম্যাচের পরই পন্ত বলেছিলেন, টেলিভিশন আম্পায়ারের উচিত ছিল সে সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করা। যদিও এখনকার আইসিসি প্লেয়িং কন্ডিশনে সেটি করার উপায় ছিল না টিভি আম্পায়ারের। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী, আউট হলেই কেবল কোমরসমান উচ্চতার বলটি নো হয়েছে কি না,

সে সিদ্ধান্তে টিভি আম্পায়ারের সহায়তা নিতে পারেন অন ফিল্ড আম্পায়াররা। রোভম্যানের শটটি শেষ পর্যন্ত ছয় হয়েছিল বলে আর কিছু করার ছিল না তখন। এ নিয়মের দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে, এমন বলছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কোচ ও সাবেক শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক জয়াবর্ধনে।

আইসিসি রিভিউ নামের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সামনে এগোনোর পথে এ বিষয়ের দিকে একটু নজর দিতে হবে আমাদের। টিভি আম্পায়ারের হাতে কি এমন কোনো অপশন থাকতে পারে কি না, যাতে সেটি পুনরায় দেখা যায়? কয়েকটা ছয় হলো, এরপর আরেকটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল (ওই ম্যাচে)। তবে আম্পায়ার ভুল করেছেন।

কিন্তু নিয়ম বলে, আপনি এসব যাচাই করে দেখার জন্য টিভি আম্পায়ারের কাছে যেতে পারবেন না।’ জয়াবর্ধনের এসব কথার অবশ্য আলাদা তাৎপর্যও আছে। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি এসব নিয়মকানুনের ব্যাপারটি পর্যালোচনা করে। সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে এখনকার ছেলেদের কমিটিতে আছেন তিনি।

অবশ্য ওই সিদ্ধান্তে হতাশ হলেও মাঠে ঢুকে যাওয়া মোটেও উচিত হয়নি বলেই মনে করেন জয়াবর্ধনে, ‘খেলা বন্ধ হতে দেখাটা হতাশাজনক, আবার এরপর যখন মাঠে মানুষ ঢুকে যায়। অবশ্য সত্যি বলতে কি, আমার মনে হয় শেষ ওভারে সবার সঙ্গে আবেগ খেলা করছিল। তবে খেলার চেতনার কথা ভাবলে কোনো খেলোয়াড়ের বা কোচের এভাবে মাঠে ঢুকে যাওয়া উচিত নয়।’

এ ঘটনা নিয়ে নিজেদের মধ্যেও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়াবর্ধনে, ‘আমরা টেলিভিশনে দেখেছি। সবাই একসঙ্গে দেখছিলাম, এরপর নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। আমরাও হয়তো ডাগআউটে বসে অমন প্রতিক্রিয়াই দেখাতাম। তবে মাঠে ঢুকে যাওয়া কখনোই উপযুক্ত নয়। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে। আমি নিশ্চিত, ঋষভ এবং প্রবীন দুজনই এরপর অনুশোচনা করেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *