নতুন নতুন লিগের ভিড়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কতটা গুরুত্ব পাবে, এ নিয়ে সংশয় জেগেছিল অনেকের। তবে এসএ-টোয়েন্টি ও
আইএলটি-টোয়েন্টির হুংকার সত্ত্বেও একটুও রঙ হারাচ্ছে না বিপিএল।বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এখন পর্যন্ত ২ জন ক্রিকেটারকে দলে ভিড়িয়েছে,
দুইজনই পাকিস্তানের ‘সুপারস্টার’। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান তো আছেনই, আগাম চুক্তি করেছেন তারকা পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিও।
তবে শাহীন চোটের কারণে বিপিএল খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।রংপুর রাইডার্স এখন পর্যন্ত দলে ভিড়িয়েছে ৫ বিদেশি ক্রিকেটারকে। এদের মধ্যে ৩ জনই পাকিস্তানি।
তারা হলেন- মোহাম্মদ নওয়াজ, হারিস রউফ ও শোয়েব মালিক। এছাড়া জিম্বাবুয়ের সুপারস্টার অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ও শ্রীলঙ্কার পাথুম নিসাঙ্কাকে দলে ভিড়িয়েছে দলটি।
খুলনা টাইগার্স বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে আইকন ক্রিকেটারের মর্যাদা দেওয়ার পর দলভুক্ত করেছে ৪ বিদেশিকে, এর মধ্যে পাকিস্তানি ৩ জন। তারা হলেন- আজম খান,
নাসিম শাহ ও ওয়াহাব রিয়াজ। এছাড়া চুক্তি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার অভিষকা ফার্নান্দোর সাথে। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে চমকের পর চমক দেখানো সিলেট স্ট্রাইকার্স বেশ কয়েকজন বিদেশিকে দলে ভিড়িয়েছে
এর মধ্যে আছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। এছাড়া শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, নেদারল্যান্ডসের কলিন আকারম্যান ও জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্লকে দলে ভিড়িয়েছে সিলেট।
দলটির আইকন ক্রিকেটারের ভূমিকায় থাকছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবারও সাকিব আল হাসানকে আইকন ক্রিকেটার হিসেবে রাখা ফরচুন বরিশাল এখন পর্যন্ত বিদেশিদের মধ্যে
দলে ভিড়িয়েছে মোহাম্মদ ওয়াসিম, ইফতিখার আহমেদ, রাহকিম কর্নওয়াল ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। ইফতিখার ও ওয়াসিমের উপস্থিতিই বলে দিচ্ছে, এবার পাকিস্তানের উপেক্ষা করে বিপিএলের দলগুলোর স্কোয়াড সাজানো কঠিন।এ তো গেলো ডিরেক্ট সাইনিং!
প্রতিটি দলই প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে আরও ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। সেখানেও প্রাধান্য পাবেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। কারণ অন্য বড়
দলের খেলোয়াড়দের এবার পাওয়ার সম্ভাবনা কম।বিপিএল রঙ হারানোর যে শঙ্কা ছিল, তা দূর হয়ে গেছে মূলত পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পাওয়াতেই।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তো বটেই, গোটা বিশ্বেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভিন্নরকম উন্মাদনা সৃষ্টি করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। আর তাই বিপিএলে তাদের আগমন টুর্নামেন্টের জন্য সুখকর ব্যাপারই বটে।অবশ্য পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা দক্ষিণ আফ্রিকার লিগেও খেলার অনুমতি পেয়েছেন। সেখানে আবার সব দল কিনেছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা।
পিসিবি প্রথমে এই লিগে খেলতে দিতে চাইনি পাকিস্তানিদের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের সীমিত ওভারের একটি সিরিজ স্থগিতাদেশ পাওয়ায় বদলে গেছে বোর্ডের অবস্থান।তাই এবারের বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএল মাতাবেন শুধুমাত্র পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।একারণে বলাই যায় বিসিবির সম্মান বাঁচালেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি।
প্রোটিয়া ও আরব আমিরাতের লিগে ক্রিকেটাররা উপার্জন করতে পারবেন বিপিএলের চেয়ে অনেক বেশি। তা সত্ত্বেও রিজওয়ান-মালিকরা বেছে নিচ্ছেন বিপিএলকেই। প্রসঙ্গত, আগামী জানুয়ারিতে একসাথে মাঠে গড়াবে বেশ কয়েকটি লিগ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ-২০ ও আরব আমিরাতের আইএলটি-২০ শুরু হবে জানুয়ারিতে। এছাড়া চলবে অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় লিগ বিগ ব্যাশ।