একই অধিনায়ক, একই মাঠ, টসের ফলটাও একই। চার বছর আগে-পরে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ও থাকল একই রকম।
২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অ্যান্টিগায় অভিজ্ঞ কেমার রোচ ও তরুণ পেসার জেডেন সিলসের গতির মুখে পড়ে কুপোকাত বাংলাদেশ দল। প্রথম ইনিংসে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১০৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষপর্যন্ত ২৪৫ রান করে। প্রথম এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একমাত্র সাকিব ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন।
ক্যারিবিয়নদের বিপক্ষে ১ম টেষ্ট খেলতে নেমেই ইতিমধ্যে টেস্ট ইতিহাসে ৭ লজ্জার রেকর্ডের তিনটিই নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আর এরই সঙ্গে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে তৃতীয়বারের মতো এক লজ্জার বিশ্বরেকর্ডে নাম লেখাল বাংলাদেশ।
তা হলো— টেস্টের এক ইনিংসেই বাংলাদেশের ৬ ব্যাটার শূন্য রানে ফিরেছেন।টেস্ট ইতিহাসে একই ইনিংসে ৬ ব্যাটার শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা মাত্র সাতবার। এর মধ্যে তিনবারই রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
একবার করে এই লজ্জার রেকর্ডে নাম তুলেছে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার রাতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়,
নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, নুরুল হাসান সোহান, মোস্তাফিজুর রহমান আর খালেদ আহমেদ। এর আগে মিরপুরে শ্রীলংকার বিপক্ষে এক ইনিংসেই বাংলাদেশের ৬ ব্যাটার শূন্য রান করেছিলেন।
তিন সপ্তাহ পেরোতেই আরও একবার ৬ শূন্যের বিশ্বরেকর্ডে নাম লেখালেন টাইগাররা। এর আগে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই প্রথমবার বাংলাদেশের ৬ ব্যাটার শূন্য করেছিলেন।
আর সেই টেস্ট হয়েছিল ঢাকায় মিরপুরে। সেই ইনিংসে ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিলেন টাইগাররা। এবার অবশ্য সাকিবের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে একশর নিচে আউট হওয়ার লজ্জা কোনোমতে এড়িয়েছেন টাইগাররা।